তাদের তেমন কোনো বদনাম নেই, বাকিটা বোঝা যাবে কাজ দেখে
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পর্কে সার্চ কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেয়া চারজন বিশিষ্ট নাগরিক পৃথকভাবে আলাপকালে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলেছেন, ‘নতুন কমিশনের ফার্স্ট লুক বা অবয়ব ভালো, তাদের তেমন কোনো বদনাম নেই, বাকিটা বোঝা যাবে তাদের কাজ দেখে। কমিশনের যারা মূল স্টেক হোল্ডার-সেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং সাধারণ মানুষই ভালো-মন্দ মূল্যায়ন করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, যাদের নিয়ে ইসি করা হয়েছে তাদের তেমন কোনো বদনাম নেই। তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি করেছেন, এর বাইরে তেমন কোনো গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন বলে আমার জানা নেই। বিশিষ্ট নাগরিকরা সার্চ কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ে বলেছিলেন যে-নতুন ইসি যেন শক্তিশালী হয়, যে কোনো চাপ ও প্রভাবের মধ্যেও তারা যেন মেরুদণ্ড সোজা রাখেন। তাদের সেই প্রত্যাশা এই কমিশনকে দিয়ে কতটা পূরণ হবে জানি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এক-আধজনকে চিনি। তাছাড়া কমিশন একাই ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। সেখানে প্রশাসন, বিশেষ করে ওসি-ডিসি-ইউএনও যদি দলীয় লোক হন তাহলে কমিশনের সমস্যা হবে। এর বাইরে কালো টাকা, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়ও রয়েছে। তারপরেও আমি আশা করি, নতুন ইসি বিদায়ী কমিশনের মত হবে না।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “নতুন ইসি কাজ শুরু করার পর বুঝবো কেমন হবে। এখন বিস্তারিত মন্তব্য করা ঠিক হবে না। পাঁচজনের মধ্যে দু’জনকে চিনি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত্ হোসেন চৌধুরী আমাদের সময় দুই থেকে আড়াই বছর ভোটার তালিকা তৈরি প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। আর সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম যদি আমাদের সময়ে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব সেই রফিক সাহেব হয়ে থাকেন তাহলে বলবো- তারা দুুইজনই ভালো, দু’জনেরই কাজের অভিজ্ঞতা আছে। সবমিলিয়ে তাদের কাজ দেখে মানুষই বলবে খারাপ না ভালো।”
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন ‘নতুন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের লেখা মাঝে-মধ্যে পড়েছি। সবাই ভালো। আশা করি তারা ভালো করার চেষ্টা করবেন। তাদের জন্য শুভকামনা থাকলো।
নতুন ইসি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ বলেন ‘যেহেতু সার্চ কমিটির সুপারিশে আমার নামও ছিল সেই কারণে আমার মন্তব্য করা ঠিক নয়। মানুষই ভালো-মন্দ দিকগুলো মূল্যায়ন করবে। যারা কমিশনে এসেছেন তারা ভালো কাজ করুন। তাছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচজনের কাউকেই চিনি না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী তার তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ফার্স্ট লুক মোটামুটি ভালোই হয়েছে মনে হয়। মনে হয় খারাপ হবে না।