কিউলেক্স মশক নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল থেকে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ রোববার বিকেলে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে মশক পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে মেয়র তাপস সংশ্লিষ্ট সকলকে এই নির্দেশ দেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
শেখ তাপস বলেন, সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও কার্যক্রমের ফলে এডিস মশকের লার্ভার উৎসস্থল ধ্বংস করা, ব্যাপকাকারে চিরুনি অভিযান পরিচালনা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে আমরা দ্রুততার সহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় একেবারে অনুল্লেখযোগ্য ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু শীত মৌসুম কড়া নাড়ছে। তাই ঢাকাবাসীকে কিউলেক্স মশকের উৎপাত হতে নিস্তার দিতে আগামীকাল থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশক মজুদ, প্রয়োজনীয় জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে শুধু লোকবলই বাড়াইনি বরং প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতিও ক্রয় করা হয়েছে। পর্যাপ্ত কীটনাশকও মজুদ আছে। মশক কর্মী ও সুপারভাইজারদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও সদ্য ক্রয়কৃত নতুন ২৫টি হুইল-ব্যারো মেশিন আমাদের এই কার্যক্রমে সংযুক্ত হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, এর মাধ্যমে কিউলেক্স মশক নিয়ন্ত্রণে অন্য যে কনো সময়ের তুলনায় আমরা অধিকতর সফল হবো।’
গত সপ্তাহে দক্ষিণ সিটির দশটি অঞ্চলের মশক কর্মী ও সুপারভাইজারদের মশক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আগামীকাল হতে কিউলেক্স মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে পূর্বের ১২টি হুইল-ব্যারো মেশিনসহ মোট ৩৭টি মেশিনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তাছাড়া, প্রতি ওয়ার্ডে আরও ২টি করে নতুন ফগার মেশিন কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে যুক্ত হবে।
এ সময় দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।