×
ব্রেকিং নিউজ :
টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত শাটল বাস চালু ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে : জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা কেউ আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী আরটিআই আইনে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ড. আবদুল মালেক এসওইগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট ডেটা : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সঠিক : সালমান এফ রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-১০
  • ৪৬৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী ও সদর থানায় দায়ের করা পৃথক দু’টি হত্যা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মোট ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে জরিমানা এবং অনাদায়ে কারাদ-াদেশ দেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশেষ দায়রা জজ মো. আশরাফুল ইসলাম পৃথক দু’টি আদালতে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার দহকুলা এলাকার মৃত মঈন উদ্দিন বিশ্বাসের তিন ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস (৬০), বাবুল বিশ্বাস (৪৫), হাবিল বিশ্বাস (৫১), আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস ছেলে মাহামুদুল হাসান সবুজ (৩০), একই এলাকার কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৪১), মৃত জলিল গায়েনের ছেলে মাসুদ গায়েন (৩৯), রাজবাড়ী জেলার তেতুলিয়া এলাকার আব্দুল আজিজ মোল্ল্যার ছেলে জিল্লুর রহমান (৩০), একই এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তারেক শেখ ওরফে মাধব (৩০), মাহাফুজুর রহমানের ছেলে জাহিদ খাঁ (৩০), সিংড়া এলাকার সাইফুর রহমানের ছেলে সৌরভ মিয়া (৩৬)।
রায় ঘোষণার সময় আসামী আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস, মাহামুদুল হাসান, বাবুল বিশ্বাসসহ ৬জন উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকার চরসাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দ চরের ঘাটে অজ্ঞাতনামা জবাইকরা একটি মরদেহ উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
এ ঘটনার পর দিন ১ নভেম্বর কুমারখালী থানা পুলিশের এসআই লিয়াকত আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে ৩১ অক্টোবর ৩০২/৩৪ ধারায় ৪জনকে অভিযুক্ত করে কুমারখালী থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক সিকদার আলী আক্কাস। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অভিযুক্তরা রাজবাড়ী জেলার তেতুলিয়া এলাকার হাশেম শেখের ছেলে মিঠু শেখ (২৪)কে কুপিয়ে হত্যা করে।
অপর দিকে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টুকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। নিহতের ভাই মাহবুবুল করিম মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টু দহকুলা গ্রামের সোহরাব উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
কুষ্টিয়া কোর্টের সরকারী কৌঁসুলি অ্যাডভোটে অনুপ কুমার নন্দি পৃথক এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিেেযাগ সন্দোহতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় দুটি মামলায় মোট ১০ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ জরিমানা অনাদায়ে কারাদ-াদেশ দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat