×
ব্রেকিং নিউজ :
ধর্মীয় উৎসব সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী: ম্যাথু মিলার জয়পুরহাটে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দুস্থ মহিলাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ সাতক্ষীরার ৫৪৮টি পূজা মণ্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব স্পেনের সাথে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত : মির্জা ফখরুল দক্ষিণ সিটি এলাকায় সকল মন্দির-পূজামণ্ডপে চলছে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম মুল্যস্ফীতি প্রায় স্থিতিশীল অবস্থানে এসেছে : অর্থ উপদেষ্টা গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২৬
  • ২৩৪৩২৫০৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থে এবং স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও পুরনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করেছে সরকার। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে বিএনপি’র বিরূপ মন্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পার্থক্য না বুঝে, না পড়েই মন্তব্য করছেন। কারণে-অকারণে সরকারের বিরোধিতা করাই তাদের কাজ। ভারতের সাথে সম্পর্ককে পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত যেভাবে সহায়তা করেছে, তাদের সৈনিকরা যেভাবে জীবন দিয়েছে, আমাদের প্রায় এক কোটি মানুষকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে, তাতে তাদের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক, তা অবিচ্ছেদ্য। 
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো, তারা প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেনি। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া নিজেই বলেছেন যে, তিনি ভারতে গিয়ে গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গা চুক্তি করেছেন বিধায় আমরা পানি পাচ্ছি। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, তার ফলেই আমরা নেপাল থেকে ভারতের ওপর দিয়ে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে পারছি, ভুটানের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সম্পর্কের কারণেই এ বছর কোরবানি ঈদের আগে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। 
এ সময় ভারতের সাথে 'কানেক্টিভিটি' নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ বিদ্যমান। ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ চলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী  অঞ্চলগুলোর সাথে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে। 
এরআগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে অবস্থানকালে রাষ্ট্রদূতের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন । রাষ্ট্রদূতও তার এ সময়কালকে অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ ও ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করেন। 
বৈঠকে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, প্রযুক্তি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন তারা। 
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী ইউরোপের দেশগুলোর অন্যতম সুইডেনের প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান দেশে অপারেট করছে। কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬০ দশকের শুরু থেকে এবং সুইডিশ এনজিও সিডা বহুবছর ধরে এ দেশে কাজ করছে। আমরা তাদেরকে 'বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন' এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা খাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছি।
এরওআগে বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে 'সিনিয়র অফিশিয়ালস মিটিং'য়ে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পরিচালিত এ সভায় কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী। অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও সকল উইংয়ের মহাপরিচালক সভায় অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর উত্তর কার্যক্রম, চীনে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সফরের প্রস্তুতিসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের সাথে সুসমন্বয়, দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকি, প্রবাসী সেবার মানবৃদ্ধি, মিশনগুলোর ট্রেড টার্গেট বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম ইন্সপেক্টর জেনারেল অব মিশন্স এর মাধ্যমে পরিদর্শনসহ মন্ত্রণালয় ও এর মিশনসমূহের নানা কার্যক্রমের ওপর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী ড. হাছান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat