সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে নতুন ও পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা থানা এলাকায় ভিকটিম সোহাগ মিয়া ও হাফিজুল শিকদারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ভিকটিম সোহাগ মিয়া গত ৫ আগস্ট বাড্ডা লিংক রোড দিয়ে তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে ২০ জুলাই মেরুল বাড্ডায় হাফিজুল শিকদার গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সালমান, আনিসুল, দীপু মনি ও পলককে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের এ দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের আইনজীবী জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরদিন ১৪ আগস্ট তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গত ১৯ আগস্ট রাতে ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২০ আগস্ট তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন। এছাড়া বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে (৩১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ২৪ আগস্ট তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।
রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশা চালককে হত্যা মামলায় গত ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় পলককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর পৃথক দুই হত্যা মামলায় তার তিন দিন করে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।