মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার হাওরে এলাকা ভিত্তিক মাছ রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাছের সাথে সংশি¬ষ্ট জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের জীবনযাত্রায় যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকালে ‘হাওড় অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, হাওরে এমন কোনো নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা যাবে না, যে জাল দিয়ে মাছ সমূলে নিধন হয়। হাওরে ধানের জমিতে বিষাক্ত রাসায়নিক বা কীটনাশক যাতে ব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে একসাথে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তরকে আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
হাওর এলাকা ইজারার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, হাওরের সাথে ইজারাদারদের স্বার্থ সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ইজারা দিলেও ইজারার শর্ত কঠোরভাবে প্রয়োগ করে হাওর বাঁচাতে হবে।
তিনি বৃক্ষ রোপণ করে হাওর অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলাভূমির গুরুত্ব উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে রামসার কনভেনশনে স্বাক্ষর করলেও এখনও পর্যন্ত কোন নির্দেশনা মানছেনা। বিশ্বব্যাপী ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশে একই তারিখে হাওরে এ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েন তিনি বলেন, হাওরের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, আব্দুল কাইয়ূম ও আমেনা বেগম, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.অনুরাধা ভদ্র প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।