প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সংক্ষিপ্ত জীবনী
আল হাজ্জ হুসাইন আলী রাজন:-
সত্তরের প্রাদেশিক পরিষদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন অন্যতম কনিষ্ঠ সদস্য। স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদসহ প্রায় সব সংসদেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ষাটের দশকের উত্তাল রাজনীতি থেকে উঠে আসা বামপন্থি এই নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি ঘেঁষা প্রবীণ এই আইনপ্রণেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক অঙ্গণসহ সর্বমহলে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানীতে যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় সর্বত্রই পরিচিতি পেয়েছিলেন বর্ষিয়ান রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে। রোববার ভোরে দীর্ঘদিন ধরে শরীরে বাসা বাঁধা রোগে ৭১ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমাতে হলো তাকে।
কথা ছিলো সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হবে তাঁকে। কিন্তু ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জে জন্ম নেয়া প্রবীন এই রাজনীতিবিদ চিকিৎসকদের আর সময় দিলেন না। ভোরে সবাইকে ছেড়ে পৃথিবী সনামধর্ম এই পার্লামেন্টারিয়ান।
আইনি দক্ষতা ও বিচক্ষণ রাজনৈতিক জ্ঞান সমৃদ্ধ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রথম জীবনে বামপন্থি রাজনীতিতে নাম লেখালেও, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে, বর্তমানে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন। সংসদ বিষয়ক জ্ঞানে ঋদ্ধ এই রাজনীতিক বর্তমান সংসদের আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক দায়িত্ব পালন করা সুরঞ্জিত ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দল ক্ষমতায় এলে রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে খ্যাতিমান এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তার কর্মে বেঁচে থাকবেন সব স্তরের মানুষের মাঝে।