মোঃ মিজানুর রহমান, সৌদি আরব প্রতিনিধি: – জীবনের সহায় সম্বল বিক্রি করে বিশাল এক স্বপ্ন নিয়ে আসছিলেন পূন্য ভুমি সৌদি আরবে। তাদের কি এ স্নপ্ন পূরন হব? সৌদি আরবের বাণিজ্যিক রাজধানী জেদ্দার রাস্তার পাশে এভাবেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অন্তত দুই শতাধিক বাংলাদশী শ্রমিক।জেদ্দা শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে হারাজাত নামক স্থানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
গত এক সপ্তাহ ধরে এভাবে অনাহারে রাস্তার পাশে দিন-রাত কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। এরই মধ্যে তাঁদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।নিজের জমি, ব্যাংক লোন এমনকি অনেকের ভিটে মাটি বিক্রি করে ও এসেছেন এই পূন্য ভূমি সৌদি আরবে। এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন জেদ্দার আল খোদরি ক্লিনিং কোম্পানির মাধ্যমে সৌদি যাওয়া অনেক বাংলাদেশি। তাঁরা এখন সৌদি আরবে কাজ না পেয়ে অনাহারে রাস্তায় থাকছেন। প্রচণ্ড গরমে সেখানেই থাকছেন, ঘুমাচ্ছেন। তারা জানান, আবু তাহের, আলী ও আজাদ নামের দালালদের মাধ্যমে সৌদি আরবে আসেন তাঁরা। তাঁদের অনেককে সৌদি আসার জন্য সাত থেকে আট লাখ টাকা করে খরচ করতে হয়েছে। দালালদের মাধ্যমে তাঁরা আল খোদরি কোম্পানিতে ক্লিনিংয়ের কাজে নিয়োজিত হন। কিন্তু ১০-১১ মাস ধরে তাঁদের কোনো বেতন দেয়নি কোম্পানী। তাঁদের কর্মসংস্থানও ত্যাগ করতে বলা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল খোদরি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, তাঁদের কোম্পানির লোকজন এখন বেকার রয়েছেন। তাই সাপ্লাই কোম্পানির পাওনা পরিশোধ করে তাঁদের নিজের কোম্পানিতে ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আল খোদরি কোম্পানি তাঁদের পাওনা পরিশোধ করেছে। কিন্তু সাপ্লাই কোম্পানির দালালরা শ্রমিকদের বেতন ও খাওয়া-দাওয়ার খরচ না দিয়ে মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন। এই ব্যাপারে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলে অভিযোগ করা হলে তারা বলেন, এ ব্যাপারে আগে তাঁদের কেউ অভিযোগ দেয়নি। এখন তাঁরা অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই অসহায় শ্রমিকদের দেশে ফেরা সহ সকল সমস্যার সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগি প্রবাসী শ্রমিকগন।