×
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ১ম ব্যাচে শতভাগ পাশ রুশ হামলার পর ইউক্রেনের খারখিভ এলাকা থেকে ৪ সহস্রা ধিক বাসিন্দা অপসারণ ফেনীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫০ জন সুনামগঞ্জে পান্ডারখাল বাঁধ নির্মাণের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেয়া শুরু : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মুখস্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-২১
  • ৪৫৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শূন্যরেখায় ‘উস্কানি’ অব্যাহত মিয়ানমার বাহিনীর
রাখাইনে সেনা নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে আনুমানিক যে ছয় হাজার রোহিঙ্গা সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছিল তাদেরকে সেখান থেকে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এতে করে সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলার পর রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা। এসময় প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। এই সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে যায়। তাদের ঠাঁই হয় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। সেসময় প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা সীমান্তের মধ্যবর্তী শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিলেও তারা সেখানেই রয়ে যায়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এমন এক সময়ে সীমান্তে ফের উস্কানি ছড়াচ্ছে, যখন দেশটির কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এমনকি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বৃহস্পতিবার (১৭মে) দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকও করেছেন। ঠিক তার দুইদিন পরই সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোতে দেশটির কূটকৌশল ধন্ধ তৈরি করেছে। কয়েকজন রোহিঙ্গার অভিযোগকে উদ্ধৃত করে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে লাউড স্পিকার দিয়ে রোহিঙ্গাদের সরে যেতে বলায় সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে নো ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের হুমকি-ধামকি বন্ধ রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল মিয়ানমার। তবে রবিবার সেখানে থাকা রোহিঙ্গারা এএফপির কাছে অভিযোগ করেছেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নতুন করে মাইকিং করছে। রবিবার শূন্যরেখায় থাকা থাকা রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আরিফ এএফপিকে বলেন: ‘শনিবার তারা এটি কয়েকবার বাজিয়েছে। রবিবার সকালে আবারও তারা একই কাজ করেছে। একারনণ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।’ তিনি এএফপিকে জানান, লাউড স্পিকারে মাইকিং করে মিয়ানমারের বিচার ব্যবস্থার আওতাভুক্ত এলাকা ছাড়তে রোহিঙ্গাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। তা না হলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদেরকে ‘বাঙালি’ হিসেবে সম্বোধন করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। লাউড স্পিকারে বার্তা দেওয়ার সময় তারা রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে অভিহিত করেছে। বিজিবির স্থানীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুর হাসান খান এএফপিকে জানান, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি তারা (মিয়ানমারের বাহিনী) ক্যাম্প সংলগ্ন সীমান্ত বেড়ার পাশে থাকা গাছের সঙ্গে লাউড স্পিকার ঝুলিয়ে দিয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat