সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলায় মেয়র মিরুসহ আটজন রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুলকে গুলি করে হত্যার মামলায় শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ আটজনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার সকালে শাহজাদপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাসিবুল হক এ আদেশ দেন।সকাল ১০টার দিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হালিমুল হক মিরু, দুই ভাই পাবনা জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টু ও হাসিবুল হক পিন্টুসহ আটজনের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় শাহজাদপুর পৌর এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বিক্ষোভ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মনিরুল ইসলাম আরো জানান, পৌর মেয়র মিরুসহ অন্য আসামিদের সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে নেওয়া হয়। আদালত প্রাঙ্গণে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য সকাল থেকেই আদালত চত্বরে র্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আদালত চত্বর ও বাইরে সার্বক্ষণিক পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়।গত ২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মেয়র মিরুর দুই ভাই অস্ত্রের মুখে বাড়িতে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিজয়ের স্বজনরা মেয়রের বাসার সামনে মিছিল নিয়ে গিয়ে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় মেয়র মিরু ও তার ভাই শটগান দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে খবর সংগ্রহের সময় মেয়রের গুলিতে সমকাল সাংবাদিক শিমুল গুরুত্বর আহত হন। পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা। সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বাদী হয়ে পৌর মেয়র হালিমুলক হক মিরুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা শ্যামলী এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মেয়র মিরুকে আটক করে। পরদিন তাঁকে সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজিরা এবং শাহজাদপুর আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে কারাগারে পাঠানো হয়।