×
ব্রেকিং নিউজ :
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের কারাদণ্ড গোপালগঞ্জে দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ ভোলার ৩ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল রাঙ্গামাটিতে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন গোপালগঞ্জের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপস ধ্বংসে হাইকোর্ট নির্দেশ ক্রেতারা প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে যেন হয়রানির শিকার না হয় : রিহ্যাবকে রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬ উপজেলায় আগামীকাল ভোটগ্রহণ ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূত ড. মনিরুলের
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৩-২৮
  • ৪৮১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিনিধি:- তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতা চায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে এমনটাই প্রত্যাশা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। ইউপিএ-সরকারের বিদেশমন্ত্রী থা।কার সময় দীর্ঘদিন তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দরকষাকষি করেছেন প্রণববাবু। চুক্তির সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ই তাঁর জানা। কাজেই কেন্দ্র, রাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে পারেন প্রণব। এ বার ভারত সফরে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনেই থাকবেন হাসিনা। হাসিনাকে স্বাগত জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবন এখন সাজছে। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাসিনার সম্পর্ক বহু পুরনো। তাঁর স্ত্রী-র সঙ্গেও হাসিনার সখ্য ছিল। ওঁর মৃত্যুর পরে দিল্লিতেও গিয়েছিলেন হাসিনা। প্রণববাবু মধ্যস্থতা করলে নরেন্দ্র মোদীর জন্যও ভাল। মোদী নিজেও এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির উপর ভরসা করছেন। মোদী সরকার মনে করছে, হাসিনার সফরকে উপলক্ষ করে রাষ্ট্রপতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এই সফরে চুক্তি সই না হলেও অন্তত রাষ্ট্রপতি ভবনেই নরেন্দ্র মোদী ও মমতার মধ্যে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বরফ গলতে পারে। ২০১০-এও হাসিনার সফরের সময় মমতা দিল্লিতে এসেছিলেন। তাঁর জন্য শাড়িও নিয়ে এসেছিলেন। হাসিনার সঙ্গে তাঁর দিদি-বোনের সম্পর্ক বলেও উল্লেখ করেছিলেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তিস্তার বিষয়ে পুরোপুরি নেতিবাচক মনোভাব নিয়েছেন, তা নয়। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যেব স্বার্থ রক্ষার দিকটি দেখতে হবে। কিন্তু মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে না। আজ লোকসভায় তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় একই অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যের সম্মতি ছাড়া এই চুক্তিতে সইয়ের বিরুদ্ধে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু-চুক্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা-চুক্তিতে ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে বলেও অভিযোগ আনেন সৌগত। নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিচারে হাসিনার আওয়ামি লিগের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে চান। রেডিওয় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে দু’দেশের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।খবরে আরো বলা হয়, তবে খালেদা জিয়ার বিএনপি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তবে তিস্তা চুক্তি হলে হাসিনা তথা আওয়ামি লিগের হাত শক্ত হবে। আর দেশের মাটিতে বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিকে বিপণন করতে চান হাসিনা। বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা ও সামুদ্রিক সম্পদ নিয়েও বাংলাদেশের সঙ্গে বোঝাপড়া মজবুত করতে চান মোদী। হাসিনার সফরের প্রস্তুতিও চলছে অনেক আগে থেকে। ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর ঢাকায় এসেছিলেন। এর পর ৩০ মার্চ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত ঢাকায় আসবেন। হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে এই প্রতিবেদক-সহ ভারতীয় সাংবাদিকদের একটি দল বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ঢাকা এসে পৌঁছেছে। এর পর ১ এপ্রিল লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় ‘অ্যাসেম্বলি অব ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন’-এ যোগ দিতে আসবেন। অভিনেতা-সাংসদ দেবের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁকেও ওই প্রতিনিধি দলে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্পিকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat