পশ্চিম আমেরিকা উপকূলের আকাশে ঘন ঘন টহল দিচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-
ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে কি গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করেছে রুশ বা উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজ? মার্কিন নৌবাহিনীর হঠাৎ তত্পরতা ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পশ্চিম আমেরিকা উপকূলের আকাশে ঘন ঘন টহল দিচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী।নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সতর্কতা জারি না হলেও বাসিন্দাদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রবল উত্কণ্ঠা।
অভিজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন জলসীমায় কোনো শত্রু দেশের সাবমেরিনের উপস্থিতি খতিয়ে দেখতেই হঠাৎ এমন অভিযানে সামিল হয়েছে নৌবাহিনী। আশঙ্কার তালিকায় উঠে আসছে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া এবং কিম জং-উনের উত্তর কোরিয়ার নাম।গত কয়েকদিন ধরেই ক্যালিফোর্নিয়া সৈকতের উপর ঘুরছে মার্কিন নৌবাহিনীর নেভি ইপি-৩ই অ্যারিস ২ বায়ুযান, বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের সাহায্যে শত্রু জলযানের হদিশ করতে যার জুড়ি নেই। সেই সঙ্গে দেখা মিলেছে একটি সাবমেরিন ধ্বংসকারী বোয়িং পি-৮ পোসাইডন বিমান এবং আত্মগোপনকারী সাবমেরিন খুঁজতে দক্ষ পি-৩সি ওরিয়ন বিমানের। লস এঞ্জলেস থেকে মেক্সিকো সীমান্তের স্যান দিয়েগো/তিজুয়ানা পর্যন্ত আকাশে নিয়মিত টহল দিচ্ছে নৌ বাহিনীর বিমানবহর। তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে একটি রয়্যাল কানাডিয়ান সিপি-১৪০ ওরিয়নও।ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টোমাহক মিসাইল পাঠানোর পরেই মার্কিন উপকূলে নৌবাহিনীর তল্লাশি অভিযানের সূত্রপাত ঘটে।শোনা যাচ্ছে, সিরিয়ায় মিসাইল পাঠানোর কারণে ক্ষুব্ধ মস্কো। আমেরিকার সান পত্রিকা সূত্রে খবর, রাশিয়া ও ইরান এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়া আক্রমণ করার পরিকল্পনা করে এক্তিয়ার লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা। এবার থেকে সীমা লঙ্ঘনকারী ও আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে আমরা বল প্রদর্শন করতে বাধ্য হব। আমেরিকা আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।
আবার, কোরিয়া উপদ্বীপের কাছাকাছি জলসীমায় যুদ্ধ জাহাজের বহর পাঠানোর পরে আমেরিকার উদ্দেশ্য হুঁশিয়ারি দেয় উত্তর কোরিয়াও। যুদ্ধের জন্য তারা তৈরি, এমন কথাও ঘোষণা করেছে তারা।