ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের সঙ্গে স্বজনদের শেষ সাক্ষাৎ
নিজস্ব প্রতিনিধি: –
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে কারাগারে তার স্বজনরা কারাগারে দেখা করবেন আজ বুধবার। মঙ্গলবার রাতেই তারা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার গ্রামের বাড়ি থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।
কোটালিপাড়া থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।ওসি আরও জানান, কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের পাঠানো মুফতি হান্নানের সঙ্গে স্বজনদের শেষবারের মতো দেখা করা সংক্রান্ত চিঠি মঙ্গলবার দুপুরে হাতে পায় কোটালিপাড়া থানা। এরপর মুফতি হান্নানের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়। চিঠি পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই কাশিমপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে ওসিকে জানান তারা।মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তার ভাই আলিমুজ্জামান মুন্সী, স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা ও বড় মেয়ে লিপি খানম।কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালেই মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের সঙ্গে স্বজনদের দেখা করতে বলা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেননি। মুফতি হান্নানের স্বজনরা বুধবার সকালে দেখা করতে যাবেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।এদিকে মুফতি হান্নানের মা রাবেয়া বেগম কাশিমপুরে আসবেন না।পরিবারে মুফতি হান্নানের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতেই থাকেন তার স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা। তাদের মেয়েরা গ্রামের মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছেন। এছাড়া বড় ছেলে যশোরের একটি কলেজের ছাত্র। আর ছোট ছেলে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়ছে বলে জানা যায়।উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে গ্রেনেড হামলায় তৎকালিন বৃটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীসহ আরও অনেকে আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।২০০৭ সালের ৩১ জুলাই হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সম্পূরক চার্জশিটে আরেক জঙ্গি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ও মুফতি মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।