দিনাজপুরে ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১৭ পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নগদ অর্থ প্রদান : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর প্রতিনিধি :-
দিনাজপুরের চালকলের সকল বয়লার নিরাপদ কর্ম পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য ৬ মাসের সময়সীমা বেধে দিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মালিক পক্ষকে সব ধরনের অনুকুল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের কোন অজুহাতই ছাড় দেয়া হবে না। রোববার দুপুরে দিনাজপুরের ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণ ঘটনায় নিহত ১৭ জন শ্রমিকের স্বজনদের হাতে নগদ অর্থ প্রদানকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপি একথা বলেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল হতে যমুনা অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রনালয়ের সচিব মিকাইল শিপার। বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপি, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলম, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী, চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি সারওয়ার আশফাক আহমেদ লিয়ন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল, জাতীয় শ্রমিক জোটের জেলা সভাপতি সহিদুল ইসলাম এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে জর্জেস সোহেল। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরকে দিনাজপুরের সকল চালকল পরিদর্শন করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে হবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শ্রমিক বান্ধব পরিবেশসহ শ্রম আইন বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্মরত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও ৮ ঘন্টার শ্রম সময়সীমা মেনে চলা না হলে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ধরনের ছাড় না দেয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের দাস হিসেবে মনে করলে সেই মিল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে মিল বন্ধ করে দেয়া হবে। বর্তমান সরকারের শ্রমিক কল্যাণে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে শ্রম মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২১১ কোটি টাকার কল্যাণ তহবিল গঠন করে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিকদের মেধাবী ছেলে-মেয়েকে পড়াশুনার খরচ দেয়া হচ্ছে। অসুস্থ শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপি যমুনা অটো মিলের বয়লার বিস্ফোরণ ঘটনাকে ১৭ শ্রমিকের পরিকল্পিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে মিল মালিক সুবল ঘোষসহ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান। শ্রম মন্ত্রী নিহত ১৭ জন ও আহত ৪ জন শ্রমিকের পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে বলেন, নিহত ১৭ জন শ্রমিকের প্রত্যেককে আরো দেড় লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে ৫ জন শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের ৩০ হাজার টাকা করে ও ২ জন সন্তানকে ২০ হাজার টাকা করে পড়াশুনার জন্য অনুদানের চেক দেয়া হয়।
নাশকতা মামলায় দিনাজপুরে জামায়াতের ৭ জন গ্রেফতার
আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর প্রতিনিধি :-
দিনাজপুরে নাশকতার মামলার পলাতক ৭ জামায়াত কর্মীর জামিন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমদের আদালতে খানসামা উপজেলার নাশকতা মামলার পলাতক ৭ জামায়াত কর্মী শফিকুল ইসলাম, শমসের আলী, শাহ আলম, মোস্তাকিম, আব্দুস সোবহান, আব্দুল গফ্ফার ও হাসান আলী আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে ৭ জনকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিলে পুলিশী প্রহরায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারী খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে ৪টি মোটরসাইকেল, ২টি ভটভটি ও ৪টি ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এঘটনায় থানার তৎকালীন এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশী অভিযানে দিনাজপুরে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ী থেকে ২১৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার
আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর প্রতিনিধি :-
দিনাজপুরে ১ সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ী থেকে ২১৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিরামপুর সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. হাফিজ জানান, শনিবার রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খোশালপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সামসুজ্জামানের বাড়ীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২১৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সাবেক ইউপি সদস্য শামসুজ্জামান বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ফেন্সিডিলগুলো এরসাদুল ও হুমায়ুনের বাড়ীর মাটিতে পুতে রাখা ছিল। এব্যাপারে বিরামপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।