×
ব্রেকিং নিউজ :
দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয় : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি : তথ্য ও সম্প্রচার সচিব পশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক : ধর্মমন্ত্রী ইয়েমেনে তেলের ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা গাজায় ১০ দিন ধরে চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না চীনে চা ফ্যাক্টরি ধসে ৩ জন নিহত সুইজারল্যান্ড শান্তি’ সম্মেলনে চীনকে যোগ দেয়ার আহ্বান জেলেনস্কির
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১০-৩০
  • ৬৫৯১৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফারমার্স ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাবুল চিশতীর স্ত্রী রোজী চিশতী এবং ব্যাংকটির সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানের ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। 
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাবুল চিশতী, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে বাবুল চিশতী ও রাশেদুল চিশতীকে দুই বছর ও রোজি চিশতীকে এক বছরের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে। অপরদিকে মাসুদুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এদিন রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাশেদুল হক জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। তবে রোজি ও মাসুদুর রহমান আজ আদালতে হাজির হননি। আদালত তাদের জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। রায় ঘোষণা শেষে বাবুল চিশতি ও রাশেদুল হককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরআগে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় এ মামলা করে দুদক। 
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্থান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে কেনা ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। 
২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat