স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হলে দেশের মানুষ হতাশ হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে দেশের জন্য আমাদের কিছু করে দেখাতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা রাজনীতিবিদ নই। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক কোন দম্ভ নেই। আমরা এখানে সকলেই সিভিল সোসাইটি থেকে এসেছি। একটি শৃংঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করছি।
এ এফ হাসান আরিফ আজ বিকেলে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের নিজ কার্যালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপাইকে এ কথা বলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ প্রায়ই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্মুখীন হয়। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, সমূদ্রের পানির উচ্চতা ও লবনাক্ততা বৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে। সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবর্ণণীয় ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানলব্ধ হলে সাধারণ মানুষও এ ব্যাপারে সচেতন হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপাই বলেন, বাংলাদেশের একজন সহযোগী অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকবে, সরকারের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশনসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অবকাঠামো নির্মাণে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা চাই, স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জনসচেতনতা গড়ে উঠুক।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ ও এফডি’র উপ-পরিচালক সেসিলা কর্টেসি উপস্থিত ছিলেন।