- প্রকাশিত : ২০১৭-০১-২৩
- ৬৮৬ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
কে এম হাসানের নাম প্রস্তাবের বিষয়টি বিএনপির কোন নেতাই হয়তো জানিয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত্ করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সার্চ সমিটির প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি কেএম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছে কিনা তা আমি জানি না। তবে এ বিষয়টি জানতে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে রাষ্ট্রপতির কাছে বা বঙ্গভবনে যেতে হবে না। বিএনপির মধ্যে অনেক নেতাই আছেন যারা হয়তো এ বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের না জেনে কোনো কথা বলেননি।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিব্লেটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব জানান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে নিজেদের দলের মধ্যে নিশ্চই আলাপ আলোচনা করেছিল। সেই আলোচনায় উপস্থিত থাকা যেকেউ হয়তো বিষয়টি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তা কিন্তু জোরালো নয়। বিএনপি যে কেএম হাসানের নাম প্রস্তাব করেনি সে বিষয়টি ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি অস্বীকার বা প্রত্যাহারও করেননি, তার প্রতিবাদের ভাষা অত্যন্ত দুর্বল। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক একজন দক্ষ নেতা।
তিনি আরো বলেন, ‘অসত্য তথ্য প্রত্যাখ্যান করারও একটা ভাষা আছে। ফখরুল ইসলামের প্রত্যাখ্যানের ভাষা সে ধরণের ছিল না। আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত্ করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পৃথক আইন করার কথা বলেছি। আমরা কারও নাম প্রস্তাব করিনি, নাম প্রস্তাব করার প্রশ্নই উঠে না। বিএনপি আইনও চাইনি।
তিনি বলেন, বিএনপি’র নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন সার্চ কমিটি ও ইসি নিরপেক্ষ না হলে তিনি তা মানবেন না। খালেদা জিয়া এটা জানলেন কিভাবে রাষ্ট্রপতি কি করবেন?
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি একজন দক্ষ, সত্ ও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তার প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা আছে। তিনি অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি ও পরে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে জাতি সাবেক প্রধান বিচারপতি ‘কেএম হাসান’কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেই মানেনি। কিন্তু বিএনপি তার নামই নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করলো কীভাবে?
গত সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে আমরা নাকি বিতর্কিত বিচারপতি কে এম হাসানকে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক করার সুপারিশ করেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে তার কাছে আমার প্রশ্ন, তিনি এই সুপারিশের কথা জানলেন কীভাবে? তাহলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে কি আওয়ামী লীগের গোপন যোগাযোগ আছে?
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..