×
ব্রেকিং নিউজ :
টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত শাটল বাস চালু ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে : জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা কেউ আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী আরটিআই আইনে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ড. আবদুল মালেক এসওইগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট ডেটা : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সঠিক : সালমান এফ রহমান
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-১২
  • ৪২৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
চার বছর পর লাশ ইসলামি রীতিতে দাফনের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  আইনি জটিলতায় চার বছরের অধিক সময় ধরে মর্গে থাকা ধর্মান্তরিত হওয়া নীলফামারীর হোসনে আরা লাইজুর (নিপা রানী) মরদেহ ইসলামি ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি পাওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে মরদেহ দাফন করতে হবে। নীলফামারীর জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে দাফন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দাফনের আগে হোসনে আরা (নিপা রানীর) লাশ তার বাবার পরিবারকে দেখার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মেয়ের বাবার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সমীর মজুমদার। ছেলের বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম বদরুদ্দোজা। মামলার বিবরণে জানা যায়, আইনি দ্বন্দ্বে চার বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে নিপা রানীর মরদেহ। এতদিনেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ মার্চ থেকে নিপার মরদেহটি হাসপাতালের মর্গেই পড়ে আছে। ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার কারণে মরদেহ নিয়ে এমন আইনি লড়ায়ে জড়িয়ে পড়েন ছেলে ও মেয়ের পরিবার। মামলাটি বিচারিক আদালত ঘুরে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে আসে। রংপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে মরদেহ হস্তান্তর করতে পারেনি। ভালোবাসা এরপর ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন নিপা-লাজু। এভাবেই কাটছিল লাজু ও নিপা রানী ওরফে হোসনে আরার দিন। কিন্তু বাধঁসাধে নিপার পরিবার। নিপা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় লাইজুর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে তার পরিবার। এ মামলায় লাইজুকে নেওয়া হয় কারাগারে। নিপাকে রাখা হয় নিরাপত্তা হেফাজতে। পরে নিপাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয় তার পরিবার। লাজুও জেল খেটে বের হন। কিছুদিন পর লাজু বিষ খেয়ে মারা যান। নিপাও শোকে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। এরপর নিপার মরদেহ দাবি করে আদালতে মামলা করে দুপক্ষই। এ মামলাটি নিম্ন আদালত ঘুরে উচ্চ আদালতে আসে। আজ  উচ্চ  আদালত থেকে সিদ্ধান্ত আসে হোসনে আরার (নিপা রানী) মরদেহ ইসলামি ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat